বৈশাখ মাসের কড়া রোধ, মাঠ পুড়ে ছাই, গাছের ডালে ডালে সজীবতার আর্তনাদ। প্রচন্ড গরম আর মগজ উত্তপ্ত করা রোধে অতিষ্ট মানুষ, গরু, ছাগল, মহিষ, পাখি… এই ভর দুপুরে পুরো তেজ নিয়ে সূর্য মধ্য আকাশে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে স্বগর্বে। গাছের পাতায় অসহ্য নীরবতা দেখে মনে হয় প্রকৃতিতে যেন ধর্মঘট চলছে। এই দুপুরে সাধারণত সবাই চায় … Continue reading
পরিবর্তন হলে বৈচিত্র আসে, বৈচিত্র বয়ে আনে বিপ্লব…কিন্তু বিপ্লবের ফলাফল আবার দ্বিমুখী, এটা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি আমরা। এই হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, অবিশ্বাস আর পরিকল্পনাহীনতার মাঝে বয়ে চলা এ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে উপলব্ধি করছি আমরা। বাইরের অস্থিরতা, ব্যস্ততা, সব ঝেড়ে ফেলে এক একটা কর্মব্যস্ত দিনের সমাপ্তি নিয়ে মানুষ ফিরে আসে তার নিজস্ব জগতে। এই বিশাল … Continue reading
অবশেষে সকাল হলো! উফ: কি বিরক্তিকর ছিল এই অপেক্ষার রাত। ২০ বছর পর আরো একটা দিনের জন্য অন্যজীবন। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে সবাইকে একটা দিনের জন্য রাজী করানো গেল। হাত মুখ ধুয়ে এক কাপ চা বানিয়ে তাতে চুমুক দেয় নির্মাণ আর ভাবে আজকের দিনের কথা। শেষ কবে সবাই, সব বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিয়েছিলো মনে নেই। … Continue reading
পৌরনিক গল্পের চাঁদমামা নিরুদ্দেশ। …. বন-ঘুঘুদের নৈশ্য সংগীতে, সময়ের নাড়ী ছিড়ে বেরিয়ে আসে নিদ্রাহীন কালসাপ বাকসর্বস্ব মস্তিষ্কের ফসফসানিতে গন্তব্যহীন এইসব হতাশাক্লিষ্ট সত্তা, শ্রীহীন মনের কঙ্কাল। ঘুমন্ত প্রতিটি পারা হতে দেবতাদের নিঃসব্দ প্রস্থান আর রক্তের নেকড়া দিয়ে মুছা অক্সিজেনের চুল্লির সাজ পুরহিত বক্ষচারীর নিত্য চিৎকার ছাপিয়ে অন্তরাত্না কাঁপিয়ে বেজে ওঠে মানবতার বাউলা গান। ভুলে যাই আজন্ম … Continue reading
নব্বই দশকের প্রজন্ম নিয়ে অনেক কথা অনেক গল্প এখনও চায়ের আড্ডায় প্রজন্ম প্রতিনিধিদের নস্টালজিক করে তোলে। তবে নব্বই দশকের প্রজন্মকে সংজ্ঞায়িত করার সুনির্দিষ্ট কোন রেখা মনে হয় কোন আলোচনায় নেই। নব্বই দশকের প্রজন্ম বলতে আমরা কাকে বুঝি? নব্বইয়ের দশকের জন্ম নেয়া না আশির দশকে জন্ম এবং নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা? তবে মোটামুটিভাবে বলা যায় বর্তমান … Continue reading
যেখানে দিগন্ত কাঁদে অস্তিত্বহীনতার ভয়ে অনন্ত আকাশ ঝুলে থাকে মাটিকে স্পর্শের তৃষ্না বুকে অস্ত মোহে সুর্য যখন হারায় গোধুলির আবছায়ায় তখনও দেখ মুসাফির আমি দারিয়ে তোমার জীবন রেখায়। অবচেতন আমি অনাহুত স্রোতে আচ্ছাদিত অক্লান্ত পুরুষ যখন জলপদ্নরা কাঁদে তোমাকে না দেখার যন্ত্রনাতে। যেখানে সীমান্ত আঁকে তোমার নামে শিশিরের কাব্যসীমা সিসিফাসের মতো অযথা বসে থাকি তোমার … Continue reading
ভালোবাসার সবচেয়ে গোপন জায়গাটা যখন উটে আসে বিস্লেষনী ছকে, অর্থনীতির মৌলিক চাহিদা-সূত্রে তোমার শরীরের ক্ষুধা আর মনের প্রশান্তি দোল খায় বানিজ্যের স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ সম্পর্কের দোলাচলে…… তখন হঠাৎ, এই নব্য-নবাবরাই তোমার কাছে অভিজাত কারণ……… তুমি অর্থনীতি অনেক ভালো বোঝ। এই অভিজাত শ্রেণীই চাঙ্গা অর্থনীতির গতি নিয়ণ্থক আভিজাত্য আর অর্থনীতির এই মধুর সম্পক……… তোমাকে তোমার রঙ্গিন আগামীর মনভোলা … Continue reading
গোধূলি অবসরে তোমার নিঃস্বাশ যখন বায়ুমুখী গোয়ালান্দ নম্র পদে সন্ধ্যা আঁধার করি সমর্পন ভালোবাসা বুনো হলেও কি আনবেনা শিহরণ? আমার নিঃস্বাশ আজ উতপ্ত, মাপে নত জল। তুমি যা দেখেছো তাতো সুপ্তকান্ড-রুপ সবই শরীরী আমি হতে চেয়েছিলাম তোমার তপ্ত মরুর দস্যু বেদুঈন আমিতো চাইনি সেই নিষ্টুর দিন-রাত্রি, রুদ্র মহাকাল উর্ধ্ব বাহু, মাতাল শাখায় তবে কেন বর্ষার … Continue reading
তখন সবেমাত্র গোঁফের কালো রেখা নাকের নীচে দেখা দিতে শুরু করেছে। মার হাতের পিটুনি খাবার ভয় উপোশ করে সরাসরি সত্য কথা বলার সাহস তখনও সঞ্চয় করতে পারিনি। বাড়ির চৌসীমানার ভেতর নিজের দুরত্বপনা টিকিয়ে রাখতে মাঝে মাঝে বাড়ির কলাগাছের চেহারার অবস্থা বিকৃত করতাম শুধু। ছকে আঁকা জীবন, বেলা পড়ে যেতে শুরু করলেই তাড়াহুড়ো করে মাঠ হতে … Continue reading
আমরা তখনও জানতে পারি না যে, আমরা নিজেদের অগোচরেই উপেক্ষা করছি নিজেদের অস্তিত্ব, নিজেদের কমজ্ঞান ভূলে নিমগ্ন থাকি ভ্রান্ত মৈথুণে। আমাদের সমস্খ ধ্যান-জ্ঞান জুড়ে উদ্দেশ্যহীন অদৃশ্য গন্তব্যের যাত্রা। আমারা তখনও জানি না কি আমাদের ধর্ম, কি আমাদের কর্ম। কি আমাদের গন্থব্য, কোথায় আমাদের নোঙর। পাল তোলা নৌকার মতো পৃথিবী নামক অথৈ সাগরে আমরা আমাদের জীবন … Continue reading