সারাদিনের ছোটাছুটি শেষে একরাশ ক্লান্তি যখন ভর করে শরীরের দেয়ালে, পাটাতনে, বিছানা-ছোফায় শরীরাটা এলিয়ে দিয়ে, ঘুম জড়ানো চোখে টিভির রিমোটের সাথে অন্যরা সখ্যতা গড়ে, জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত আমরা তখন ঝলসানো সোডিয়াম লাইটের নিভন্ত আলোয় ভূলতে শুরু করি – পেরিয়ে আসা সময়ের ব্যবচ্ছেদ, গল্পের ডালাপালা অনুভূতির শেকড় খুঁজে বিরামহীন আলো-আধারের সংজ্ঞাহীন সময়ে – কদমতলা প্রতিদিন। ঘূর্ণাবর্তে সময়ের … Continue reading
উৎসর্গঃ এই মৃত্যুপুরীতে অপমৃত্যুর মিছিলে নাম লেখানো আরো একটি নাম নুসরাত জাহান রাফি কৃষ্ণ গহ্বর আবিষ্কারের উম্মাদনায় মত্ত জনপদে রক্তের নেশায় মাতাল পিশাচদের বিচরণ রক্তের খোঁজে, এই কোলাহলের বাতাস ভরে উঠে দূষিত নিঃশ্বাসে জীবনের গ্লানি অমূলক আকস্মিক মৌনতার হাতছানিতে। অন্তর্জালের অনন্ত অন্বেষণে সত্যের নগ্নতা বিবেকের দীর্ঘশ্বাসে শরীরের দগ্ধতা ভূলে গিয়ে, দ্রোহের দৃষ্টি তার চোখে-মুখে অক্ষম … Continue reading
উৎসর্গঃ আমার ছেলে তাওয়াক্কুল জুবিয়ান নির্ভেদ। আমার মা আমাকে সম্পর্কের গভীরতা শিখিয়েছেন আর আমার ছেলে শেখাচ্ছে সম্পর্কের বাঁধ ভাঙা উল্লাসের স্বাধীনতা। সভ্যতার ভাঙ্গনে জলতরঙ্গ বাজে জীবন তার স্বকীয়তা হারায় পূর্বপুরুষের বিশ্বাসে, শত কোলাহল আর ব্যস্ততার মাঝে মৌনতার ছায়া অন্য-পূন্যে সম্পূর্ন সময়ে স্বস্তির ক্ষোধা, কাঠিন্যের ভণিতা ভেঙ্গে অজস্র বেয়াড়া আবেগের ফোঁটা নিবেদিত প্রার্থনাগুলো অলক্ষ্যে হাসে … Continue reading
পৌরনিক গল্পের চাঁদমামা নিরুদ্দেশ। …. বন-ঘুঘুদের নৈশ্য সংগীতে, সময়ের নাড়ী ছিড়ে বেরিয়ে আসে নিদ্রাহীন কালসাপ বাকসর্বস্ব মস্তিষ্কের ফসফসানিতে গন্তব্যহীন এইসব হতাশাক্লিষ্ট সত্তা, শ্রীহীন মনের কঙ্কাল। ঘুমন্ত প্রতিটি পারা হতে দেবতাদের নিঃসব্দ প্রস্থান আর রক্তের নেকড়া দিয়ে মুছা অক্সিজেনের চুল্লির সাজ পুরহিত বক্ষচারীর নিত্য চিৎকার ছাপিয়ে অন্তরাত্না কাঁপিয়ে বেজে ওঠে মানবতার বাউলা গান। ভুলে যাই আজন্ম … Continue reading
যেখানে দিগন্ত কাঁদে অস্তিত্বহীনতার ভয়ে অনন্ত আকাশ ঝুলে থাকে মাটিকে স্পর্শের তৃষ্না বুকে অস্ত মোহে সুর্য যখন হারায় গোধুলির আবছায়ায় তখনও দেখ মুসাফির আমি দারিয়ে তোমার জীবন রেখায়। অবচেতন আমি অনাহুত স্রোতে আচ্ছাদিত অক্লান্ত পুরুষ যখন জলপদ্নরা কাঁদে তোমাকে না দেখার যন্ত্রনাতে। যেখানে সীমান্ত আঁকে তোমার নামে শিশিরের কাব্যসীমা সিসিফাসের মতো অযথা বসে থাকি তোমার … Continue reading
ভালোবাসার সবচেয়ে গোপন জায়গাটা যখন উটে আসে বিস্লেষনী ছকে, অর্থনীতির মৌলিক চাহিদা-সূত্রে তোমার শরীরের ক্ষুধা আর মনের প্রশান্তি দোল খায় বানিজ্যের স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ সম্পর্কের দোলাচলে…… তখন হঠাৎ, এই নব্য-নবাবরাই তোমার কাছে অভিজাত কারণ……… তুমি অর্থনীতি অনেক ভালো বোঝ। এই অভিজাত শ্রেণীই চাঙ্গা অর্থনীতির গতি নিয়ণ্থক আভিজাত্য আর অর্থনীতির এই মধুর সম্পক……… তোমাকে তোমার রঙ্গিন আগামীর মনভোলা … Continue reading
গোধূলি অবসরে তোমার নিঃস্বাশ যখন বায়ুমুখী গোয়ালান্দ নম্র পদে সন্ধ্যা আঁধার করি সমর্পন ভালোবাসা বুনো হলেও কি আনবেনা শিহরণ? আমার নিঃস্বাশ আজ উতপ্ত, মাপে নত জল। তুমি যা দেখেছো তাতো সুপ্তকান্ড-রুপ সবই শরীরী আমি হতে চেয়েছিলাম তোমার তপ্ত মরুর দস্যু বেদুঈন আমিতো চাইনি সেই নিষ্টুর দিন-রাত্রি, রুদ্র মহাকাল উর্ধ্ব বাহু, মাতাল শাখায় তবে কেন বর্ষার … Continue reading
অতঃপর ভেঙ্গে পড়ে সকল উচ্ছাস আব্রু-আবরণ ফেলে নির্লজ্জ নগ্ন হয়ে সামনে আসে স্বপ্নীল স্বরলিপি। সংকীর্ণতাকে স্পর্শ করে হোচট খেলাম অদৃশ্য বাতাসে বিন্দুর প্রভাব এভাবে রৌদ্রাভ আস্তরণ ঢেকে দেবে যদি জানতাম…….. তাহলে আমিও পেতাম হিরম্ময় রেখায়িত জল। শব্দের চাতুরীতে সম্পর্কের খসড়া রচনা অযথা, অকারণ…… উচ্ছিষ্ট ভ্রুণের দিনলিপি শেষে অবশিষ্ট থাকে শুধু …….. নীল বোতাম….. উদ্ভট ক্ষয়িত … Continue reading
১ এখনও সে গল্প হয়ে ঘুরে বেড়ায়, এই শহরের কালো বাতাসে, কোলাহলে শব্দের ধারাপাতে, নির্লিপ্ত নিরবতার দেয়াল হয়ে। আর আমি আমার সব গল্পের পান্ডুলিপি ছিড়েঁ নিজেকে খুজে বেড়াই তার গল্পের উপসংহারে। ২ অনাদিকাল ধরে চলছে এই চর্চা, শেষের কবিতার বরফ শীতল সৌন্দর্য থেকে রক্তাক্ত ট্রয়- নগরী এই একই আবর্তে চক্রাকার, ইতিহাসের বর্ণীল পাতায় আর আমার … Continue reading
রাত্রি গভীর হলে, বাতাস আরো ভারী হয় রুদ্ধদ্বার, কন্ঠস্বরকে আটকে রাখে মধ্যযুগের গাঢ় অন্ধকারে রুদ্ধশ্বাস এ জীবন বয়ে চলে যন্ত্রণার চিহ্ন ডায়রীর আরো একটি পাতায়, আঁকা হয়ে যায় তোমার জলছবি, শব্দ-অশব্দের বিস্থীর্ণ কলোরবে। প্রত্যুষের লগ্নক্ষণে, তোমার হৃদয়ে অনুরাগ জাগে সমস্থ রাত্রির পরিত্রাণ খোঁজ, অসয্য স্থব্ধতায় একটি সময়ের উদ্বেল আনন্দে, তুমি খুজো বিজয়ী পুরুষ, যার বাহুতে … Continue reading