পৌরনিক গল্পের চাঁদমামা নিরুদ্দেশ। …. বন-ঘুঘুদের নৈশ্য সংগীতে, সময়ের নাড়ী ছিড়ে বেরিয়ে আসে নিদ্রাহীন কালসাপ বাকসর্বস্ব মস্তিষ্কের ফসফসানিতে গন্তব্যহীন এইসব হতাশাক্লিষ্ট সত্তা, শ্রীহীন মনের কঙ্কাল। ঘুমন্ত প্রতিটি পারা হতে দেবতাদের নিঃসব্দ প্রস্থান আর রক্তের নেকড়া দিয়ে মুছা অক্সিজেনের চুল্লির সাজ পুরহিত বক্ষচারীর নিত্য চিৎকার ছাপিয়ে অন্তরাত্না কাঁপিয়ে বেজে ওঠে মানবতার বাউলা গান। ভুলে যাই আজন্ম … Continue reading
যেখানে দিগন্ত কাঁদে অস্তিত্বহীনতার ভয়ে অনন্ত আকাশ ঝুলে থাকে মাটিকে স্পর্শের তৃষ্না বুকে অস্ত মোহে সুর্য যখন হারায় গোধুলির আবছায়ায় তখনও দেখ মুসাফির আমি দারিয়ে তোমার জীবন রেখায়। অবচেতন আমি অনাহুত স্রোতে আচ্ছাদিত অক্লান্ত পুরুষ যখন জলপদ্নরা কাঁদে তোমাকে না দেখার যন্ত্রনাতে। যেখানে সীমান্ত আঁকে তোমার নামে শিশিরের কাব্যসীমা সিসিফাসের মতো অযথা বসে থাকি তোমার … Continue reading
ভালোবাসার সবচেয়ে গোপন জায়গাটা যখন উটে আসে বিস্লেষনী ছকে, অর্থনীতির মৌলিক চাহিদা-সূত্রে তোমার শরীরের ক্ষুধা আর মনের প্রশান্তি দোল খায় বানিজ্যের স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ সম্পর্কের দোলাচলে…… তখন হঠাৎ, এই নব্য-নবাবরাই তোমার কাছে অভিজাত কারণ……… তুমি অর্থনীতি অনেক ভালো বোঝ। এই অভিজাত শ্রেণীই চাঙ্গা অর্থনীতির গতি নিয়ণ্থক আভিজাত্য আর অর্থনীতির এই মধুর সম্পক……… তোমাকে তোমার রঙ্গিন আগামীর মনভোলা … Continue reading
গোধূলি অবসরে তোমার নিঃস্বাশ যখন বায়ুমুখী গোয়ালান্দ নম্র পদে সন্ধ্যা আঁধার করি সমর্পন ভালোবাসা বুনো হলেও কি আনবেনা শিহরণ? আমার নিঃস্বাশ আজ উতপ্ত, মাপে নত জল। তুমি যা দেখেছো তাতো সুপ্তকান্ড-রুপ সবই শরীরী আমি হতে চেয়েছিলাম তোমার তপ্ত মরুর দস্যু বেদুঈন আমিতো চাইনি সেই নিষ্টুর দিন-রাত্রি, রুদ্র মহাকাল উর্ধ্ব বাহু, মাতাল শাখায় তবে কেন বর্ষার … Continue reading
অতঃপর ভেঙ্গে পড়ে সকল উচ্ছাস আব্রু-আবরণ ফেলে নির্লজ্জ নগ্ন হয়ে সামনে আসে স্বপ্নীল স্বরলিপি। সংকীর্ণতাকে স্পর্শ করে হোচট খেলাম অদৃশ্য বাতাসে বিন্দুর প্রভাব এভাবে রৌদ্রাভ আস্তরণ ঢেকে দেবে যদি জানতাম…….. তাহলে আমিও পেতাম হিরম্ময় রেখায়িত জল। শব্দের চাতুরীতে সম্পর্কের খসড়া রচনা অযথা, অকারণ…… উচ্ছিষ্ট ভ্রুণের দিনলিপি শেষে অবশিষ্ট থাকে শুধু …….. নীল বোতাম….. উদ্ভট ক্ষয়িত … Continue reading
১ এখনও সে গল্প হয়ে ঘুরে বেড়ায়, এই শহরের কালো বাতাসে, কোলাহলে শব্দের ধারাপাতে, নির্লিপ্ত নিরবতার দেয়াল হয়ে। আর আমি আমার সব গল্পের পান্ডুলিপি ছিড়েঁ নিজেকে খুজে বেড়াই তার গল্পের উপসংহারে। ২ অনাদিকাল ধরে চলছে এই চর্চা, শেষের কবিতার বরফ শীতল সৌন্দর্য থেকে রক্তাক্ত ট্রয়- নগরী এই একই আবর্তে চক্রাকার, ইতিহাসের বর্ণীল পাতায় আর আমার … Continue reading
রাত্রি গভীর হলে, বাতাস আরো ভারী হয় রুদ্ধদ্বার, কন্ঠস্বরকে আটকে রাখে মধ্যযুগের গাঢ় অন্ধকারে রুদ্ধশ্বাস এ জীবন বয়ে চলে যন্ত্রণার চিহ্ন ডায়রীর আরো একটি পাতায়, আঁকা হয়ে যায় তোমার জলছবি, শব্দ-অশব্দের বিস্থীর্ণ কলোরবে। প্রত্যুষের লগ্নক্ষণে, তোমার হৃদয়ে অনুরাগ জাগে সমস্থ রাত্রির পরিত্রাণ খোঁজ, অসয্য স্থব্ধতায় একটি সময়ের উদ্বেল আনন্দে, তুমি খুজো বিজয়ী পুরুষ, যার বাহুতে … Continue reading
আমি তাই চোখ মেলি, অনুভব করি নিজের ভণিতাহীন অকৃএীম অভিব্যক্তি আবিষ্কার করি আমার ভিতর নকল মানুষের ক্রোড়হাসি। শব্দগুলো শব্দই থেকে যায়, হয়না কবিতায় রুপান্তর শুদ্ধ শরীরের আর্তনাদ নিরুপায় উপহাসের বাঁকা হাসিতে বস্তুগত প্রাপ্তির নেশায় মাতাল ঠোট প্রশান্তি খোঁজে, শুয়োরের স্তনে মুগ্ধ চুমুকে। তবুও আমি চোখ মেলি প্রতিটি পাতায় লিখি, না বলা কথার গীতি অসংলগ্ন কারনগুলো … Continue reading
অলিখিত অস্তিত্বের আবর্তনে বৃত্তাবদ্ব জীবনের চিরন্তন দৃশ্যস্রোত দ্রোহের অভিধানে ভুলে যাওয়া অক্ষরজ্ঞান- নতজানু চোখের দৃষ্টি স্বপ্ন বিভ্রমের ভাঙ্গা কলসি যেন জীবনেরই নির্মমসত্য পান্ডুলিপি। ভবিষ্যতের গন্ধশুকে নিবিড় পাঠে মগ্ন বিধাতার কার্যকলাপ জলই শুধু বুঝে জলের নৃত্য, জলভুমির বিষন্ন প্রলাপ, ক্ষয়িষ্ঞু সময়ের মোহমুক্তি, চেহারায় রেখে যায় দীর্ঘ ক্লান্তির ছাপ জলতৃষ্না ণৃত্য করে, ঘৃনার উৎসবে চলে আরেকটি জীবনের … Continue reading
শেষবেলার সূর্য শিকারী আলোতে বৃষ্টির রঙ খয়েরী সতেজতা হারানো গোলাপের পাপড়ীতে ভালোবাসার অনিহা তিন হাতের টেবিলে তিনশো বছরের দূরত্বের নীরবতা আমার চোখে নাগরীক ফ্রেমের কালো চশমা আর তার চোখে নেশাতুর সলজ্জ কাজলের আঁচড়। আমার মন আড়ি পাতে তার মনের ঘরের ঈশাণ কোনে নীরবতার খেয়ালি অভিসারে ধূপের গন্দ কড়া নাড়ে ঝিমিয়ে পড়া সুপ্ত অনুভুতির ক্রন্দসী সময়ে। … Continue reading