you're reading...
Business Development, Random Thoughts

ব্যবসায় করোনাভাইরাসের প্রভাব এবং বেসরকারী খাতের ভূমিকা

Coronavirus economic impact

এই শতকে মানবজাতির জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংকটের নাম করোনাভাইরাস, যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব সম্ভবত ২০০৮ সালে বিশ্ব যে আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ হতে পারে। এই প্রভাব থেকে সমাজ ও অর্থনীতিকে মুক্ত করতে সরকারের সাথে বেসরকারী খাতের ব্যবসায়িকদেরও এগিয়ে সাতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা দিয়েই শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশমিত করা সম্ভব। এই মহামারীটি ব্যবসায়ের অর্থ এবং উদ্দেশ্যকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে।

আমরা যে মহামারীর মুখোমুখি হচ্ছি

আমরা এমন একটি মহামারীর মাঝে রয়েছি যা বিশ্ব গত ৫০ বছরেও অনুভব করতে পারেনি। প্রথম ১০০,০০০ কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হতে সময় লেগেছিলো ৬৭ দিন; দ্বিতীয় ১০০,০০০ আক্রান্তের জন্য ১১ দিন, এবং তৃতীয় ১০০,০০০ এর জন্য লেগেছিলো মাত্র চার দিন” [1]। পরবর্তিতে ৩ সপ্তাহের মধ্যে, ২০২০ সালের ২১শে কোভিড-১৯ পজিটিভ ক্ষেত্রে সংখ্যা ৩০৫,০০০ থেকে বেড়ে ১৪ই এপ্রিল ২০২০ এ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২ মিলিওন-এ। আর বর্তমানে (২৯শে মে ২০২০ পর্যন্ত) বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬ মিলিয়নেরও বেশী এবং মৃত্যু ৩৬৬,০০০ এর বেশী। ইতিমধ্যে ইরান, ইটালী, স্পেন, আমেরিকার মত কোভিড -১৯ হটস্পট অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পরতে দেখা গেছে। এই অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে আসলেও ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্থান এবং বাংলাদেশ কোভিড -১৯ এর নতু হটস্পট অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

চীনের উহান শহরে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর প্রভাব সম্পর্কে প্রাথমিক যে ধারণা করা হয়েছিলো আজকের বাস্তবতা তা থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন। বিভিন্ন দেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউনের যে কৌশল নেয়া হয়েছিলো তা এখন মানুষের জীবন ও জীবীকার সামনে অনেক বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন বিসিয়ে দিয়েছে। লকডাউনের কারনে মেক্রোইকোমিক চেইন ভেঙে পড়ছে, প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নেই তাই মানুষ চাকরি হারাচ্ছে, মানুষের আয় কমে যাচ্ছে তাই উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে, অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ক্রমেই নিস্তেজ হচ্ছে।

আইএলও সম্প্রতি কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে সর্বনিম্ন ৫.৩ মিলিয়ন থেকে ২৪.৭ মিলিয়ন পর্যন্ত মানুষ তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে[4]। ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের মতে শুধুমাত্র ট্র্যাভেল ও ট্যুরিজম শিল্পে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্যভাবে নিযুক্ত রয়েছেন প্রায় ৭৬০,০০০,০০০ মানুষ। পরবর্তিতে আইএলও কোভিড -১৯ এর কারনে ১৯৫ মিলিয়ন চাকরি কমে যাওয়ার কথা বলে তাদের পূর্বাভাস হাল নাগাদ করেছে, যা ২০২০-এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে পুরো সময়ের সমতুল্য [6]।

ব্যবসায়ের উপর প্রভাব

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর গৃহিত লকডাউনের কারনে গত তিনমাসে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর প্রভাব সম্ভবত ১৯৩৩ সালের মহামন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে [1]। McKinsey-এর পূর্বাভাস অনুসারে, যে কোনও পরিস্থিতিতে ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ সমস্ত বড় অর্থনৈতিক শক্তিগুলো প্রাভাবিত হবে এই বছর। বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.৫% থেকে ৪.৭% পর্যন্ত কমে নেতিবাচক ট্রেন্ড বা ধারার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। ইউরোপীয় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৯.৭% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে যদি মহাদেশটি মহামারীটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম না হয়। ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে বিশ্ব মুক্ত বাজার অর্থনীতির সাথে যুক্ত হওয়া চীনে প্রথমবারের মতো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা গেছে। সঠিক সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত না করতে পারলে চলমান এই মন্দা (Recession) খুব শীগ্রই মহামন্দার (Depression) রুপ নিবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ-এর মত প্রতিষ্ঠাগুলো।

বিদেশী বিনিয়োগ এবং বিদেশী বাজারের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীলতার কারনে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তীব্র মন্দা আশা করা হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ সম্ভবত হতে যাচ্ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সরবরাহ করে এমন অনেকগুলি খাত। শহুরে দরিদ্র ও অভিবাসী শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, লক্ষ লক্ষ মহিলা যারা বিভিন্ন ইনফরমাল খাতে, টেক্সটাইল, জুতো তৈরি, উৎপাদন এবং ছোট ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত আছেন।

দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বিভিন্ন খাত প্রত্যাশিত স্তরের প্রভাবগুলো নিম্নলিখিত হিসাবে হতে পারে:

Corona Effect on Busienss

বেসরকারী খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রস্তাবিত পদক্ষেপ

কোভিড-১৯ এর কারনে উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবসায়ের ধরণ বিবেচনায় ভিন্ন হবে তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা এবং টিকে থাকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশেষ করে মাঝারি আকার এবং বৃহত্তর কোম্পানিগুলোর নিম্নে উল্লেখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ –

১। সংকট নিয়ন্ত্রণে সরকার ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে একত্রে কাজ করা

মানুষের জীবন বাঁচানো এবং সংক্রমণের রেখাকে নিম্নমুখী করাই এখন সর্বাধিক অগ্রাধিকার। কোম্পানিগুলোর কাছে সরকার এবং তার সাথে কাজ করে যাওয়া বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা, সংস্থান, দক্ষতা এবং নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। বড় এবং ছোট প্রতিটি ব্যবসায়ের তাদের চিন্তাভাবনা করা উচিত যে তারা কিভাবে কোভিড -১৯-এর সাথে লড়াই করতে এবং সেই অনুসারে কাজ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে যে পরামর্শগুলি আসতে পারে তা হলোঃ

    • ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও বেশি স্যানিটাইজার, ফেস মাস্ক, চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদির উৎপাদন এবং উৎসের সন্ধান করে সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা।

    • বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সরকারকে সাথে নিয়ে হসপিটাল নির্মান, ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিতের চেষ্টা করা।

    • ভ্যাকসিন গবেষণা ও উন্নয়ন, ওষুধ ও পরীক্ষার কিট উৎপাদন, রোবোটিকস, সুরক্ষা বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সংকট নিয়ন্ত্রণ বা উপশম করতে সহায়তা করে এমন পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহের চেষ্টা করা।

    • জীবন বাঁচাতে এবং কোভিড -১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং জানার উপায়গুলি নিশ্চিত করা।

    • সরকার এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য নগদ অর্থ, জনশক্তি, দক্ষতা, পণ্য ইত্যাদি সরবরাহের পাশাপাশি এই সংকটের সম্মুখ যোদ্ধাদের নৈতিক সমর্থন প্রদান করা।

২। পণ্য সরবরাহের চেইন স্থিতিশীল রাখা জরুরী সরবরাহ নিশ্চিত করা

কোভিড-১৯ এর কারনে গৃহীত লকডাউন বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের চেইনগুলিকে ব্যাহত করেছে, যার ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ধীর হয়ে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে যেমন – (১) খাবার ও মৌলিক সেবাসহ পণ্য ও সেবার বাজারের সংকট, (২) ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যবসাগুলি বন্ধ বা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, (৩) সরবরাহ চেইনের শ্রমিকদের বেকারত্ব বা আয় হ্রাস হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরবরাহের চেইনগুলি দ্রুত স্থিতিশীল করার ফলে ব্যবসাগুলি নিজেদের টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মসংস্থান ও একইসাথে সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রীর মতো জরুরী প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে।

সুতরাং ব্যবসা প্রতিষ্টানগুলোর উচিতঃ

    • যথাযত ঝুঁকি মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের সরবরাহ চেইনে বিশেষ করে এসএমই সরবরাহকারী বা ক্ষুদ্র কৃষক/ খুচরা বিক্রেতাদের উপর মহামারীটির প্রভাব হ্রাস করতে পদক্ষেপ নেওয়া।

    • সরবরাহ চেইনকে কার্যকর রাখতে অপারেশন, লজিস্টিকস, ইনভেন্টরিসহ সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলা ও সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা।

    • বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন খাদ্য, চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুত ও গ্যাস সরবরাহের পাশাপাশি যোগাযোগ এবং আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা (স্ব স্ব পন্য/সেবার সরবরাহে)।

    • সরবরাহ চেইনের সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ করে দুর্বল এসএমই এবং তাদের শ্রমিকদের ও ক্ষুদ্র পর্যায়ের কৃষক ও খুচরা বিক্রেতাদের সহায়তা করা।

৩। কর্মক্ষেত্রে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা

পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার সময় প্রতিষ্টানগুলোকে তাদের কর্মীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যতেষ্ট সুরক্ষার লক্ষ্যে যে পদক্ষ্যেপগুলো নিতে হবেঃ

    • সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন, শারীরিক যোগাযোগ হ্রাস, এবং ভাল স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করা।

    • কাজের সময়ে প্রয়োজনে যাতে কর্মীরা তাদের পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য সময় ব্যয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।

    • প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে এবং অনলাইনে কাজ করার জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাসা থেকে কাজের জন্য উৎসাহিত করুন।

    • মহামারী বাড়ার সাথে যথাযত ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজন সাপেক্ষ্যে বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

    • বেতনভুক্ত এবং অবৈতনিক ছুটি সহ সাধারণ চুক্তির বিধিগুলির বাইরে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের জন্য মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করুন।

সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ব্যবসায়ের কর্মীদের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্য তাদের যা করা উচিত তাই করতে হবে। সংকট যেমন উদ্ঘাটিত হচ্ছে, ব্যবসায়গুলি হ্রাস পাচ্ছে; কেউ কেউ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়বেন, অন্যরা দেউলিয়া হয়ে পড়বেন। অনেক কর্মী সামনে কঠিন সময়গুলির মুখোমুখি হতে পারে এবং আগামী মাসে কম আয় করতে পারে। ব্যবসায়দের তার কর্মীদের উপর বিশেষত নারী এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলির উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা উচিত।

৪। আপনার ব্যবসায়ের মডেলটি পুনর্বিবেচনা করুন

কোভিড- ১৯ এর পরের বিশ্বটি আজ আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তার চেয়ে আলাদা হবে। ব্যবসাগুলি অবশ্যই ‘স্বাভাবিক’ এ ফিরে আসবে না। মানুষ এবং এই গ্রহের জন্য আমাদের আরও উন্নত ও সুরক্ষিত বিশ্ব গড়তে হবে। এই মহামারীর প্রভাব মজুরিভিত্তিক শ্রমিক, ক্ষুদ্র উৎপাদক এবং সরবরাহ চেইনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ঝুঁকি গ্রহণ এবং কাউকে পিছনে না রেখে, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই ব্যবসার প্রসার সম্ভব। এই নীতিতে যারা ব্যবসা করে মানুষ তাদেরই সম্মান করবে, বেছে নেবে এবং সামনের সময়ে এদের প্রতি অনুগত হবে।

কোভিড-১৯ প্রচলিত ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য এবং ব্যবসার ধরনে বড় রকমের বিবর্তন নিয়ে আসবে। এই মহামারী পরবর্তি বিশ্ব ব্যবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্টানের অবস্থান কি হবে প্রচলিত ব্যবসার ধারনায় কি পরিবর্ত্ন আসবে সে সম্পর্কে এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন জাগায়।

ব্যবসার ধরন পরিবর্তন বা নির্ধারনে কিছু মৌলিক প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো নিয়ে ভাবাটা এখন সময়ের প্রয়োজনঃ

    • কোভিড – ১৯ এর পরে কীভাবে বিশ্ব পরিবর্তন হবে? সংকটের সময়ে কীভাবে সমাজ বেসরকারী খাতের ভূমিকা দেখতে পাবে?

    • এইরকম রোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও সংঘাতের সময়ে টিকে থাকার জন্য প্রতিষ্টানগুলো কিভাবে প্রস্তুত হতে পারে? সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে প্রতিষ্টানগুলোর ব্যবসার ধারাবাহিকতা নিশ্চিতের জন্য বিকল্প কি পরিকল্পনা জরতে পারে?

    • ভবিষ্যত সংকটে কোন প্রতিষ্টানের তার বিনিয়োগকারী, ক্রেতা-ভোক্তা, কর্মচারী, সরবরাহকারী এবং অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষ্যার জন্য কী ধরনের উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগ বিবেচনা করা উচিত?

আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বিশ্বব্যাপী এই মহামারীর কাছে আপনি কোথা থেকে এসেছেন, কোন ভাষায় কথা বলছেন বা আপনার সাংস্কৃতিক পটভূমি কোনকিছুই বিবেচ্য নয়। তবে একটা জিনিস নিশ্চিত যে, দরিদ্ররাই এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগে। করোনাভাইরাস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সকলেই সমানভাবে আচরণ করার এবং একই মৌলিক অধিকার পাওয়ার অধিকারী কারণ সবাই নিরাপদ না হলে কেউই নিরাপদ থাকতে পারে না। এর জন্য এই পরিস্থিতে জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সংকটকে সম্মিলিতভাবে মোকাবেলায় সংহতি প্রয়োজন।

কোভিড – ১৯ পরবর্তি বিশ্বে আমরা সম্ভবত একটি গতিশীল এবং উদ্ভাবনী বেসরকারী খাতকে দেখতে যাই যা বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অদম্য ও অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ দ্বারা সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলি সমাধানে অবদান রাখবে।

References:

    1. Safeguarding our lives and our livelihoods: The imperative of our time
    2. COVID-19: Imperial researchers model likely impact of public health measures
    3. Coronavirus lockdown could last 18 MONTHS as government says 260,000 would die without drastic measures
    4. COVID-19 and the world of work: Impact and policy responses
    5. World Tourism Organisation: Global number of travel industry employees revealed
    6. COVID-19: impact could cause equivalent of 195 million job losses, says ILO chief

About Md. Moulude Hossain

FinTech | Digital Payment | Product Strategy | Product Management | EMV | Business Development

Discussion

10 thoughts on “ব্যবসায় করোনাভাইরাসের প্রভাব এবং বেসরকারী খাতের ভূমিকা

  1. Bangladesh has a good record on gradually improving human capital compare to other neighbor countries. InshaALLAH we will win the battle against COVID-19 soon.

    Posted by Md. Masud Shahriar | June 1, 2020, 2:44 pm
  2. Yes. The necessary diversification of the exports was in the offing as the COVID-19 pandemic struck. It would have been achieved within a few years time. But now it is an uphill struggle to shield the economy from ruin.

    Posted by Khandakar Mohidul Tarek | June 2, 2020, 5:43 pm
  3. To ensure public health and safety country like Bangladesh or India where its really difficult to subsidize poor peoples due to corruption and red tape. The stimulus packages are big in amount however we are much concern about the distribution channels and whether the end users are really benefited or not, that’s the question mark for the government. Thanks

    Posted by Syed Muktadir Islam | June 2, 2020, 6:41 pm
  4. এই মহামারি মোকাবেলা করতে সামগ্রিক প্রচেষ্টা সময়ের প্রয়োজন। মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক গতিশীলতাও নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দর এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

    Posted by Mockbul Hossain | June 3, 2020, 8:10 pm
    • যতার্থ বলেছেন। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সুন্দর ভারসাম্যমূলক নীতিনির্ধারণ করাই এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় কাজ।

      Posted by Md. Moulude Hossain | June 3, 2020, 8:16 pm
  5. ধন্যবাদ। লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে। সমসাময়িক বিষয়বস্তু নিয়ে সুন্দর উপস্থাপনা।

    Posted by Zara Hayat Zaman | June 3, 2020, 8:13 pm
  6. It was truly wonderful article. Thanks.

    Posted by Amit Paul | April 21, 2021, 4:55 pm

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

upay-GP Offers

Blog Stats

  • 103,115 hits

Archives

upay bonus

Recent Post

%d bloggers like this: